AllBanglaNews24

প্রকাশিত: ১৪:১৫, ২৭ নভেম্বর ২০১৯

হলি আর্টিজান’র সাত আসামির মৃত্যুদণ্ড, একজন খালাস

হলি আর্টিজান’র সাত আসামির মৃত্যুদণ্ড, একজন খালাস

ছবি : সংগৃহীত

হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলা মামলায় গ্রেফতারকৃত আট আসামির মধ্যে ৭ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

বুধবার বেলা ১২টায় ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান এই রায় দেন। 

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- রাজীব গান্ধী, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, হাতকাটা সোহেল মাহফুজ, হাদিসুর রহমান সাগর, রাশেদ ইসলাম ওরফে আবু জাররা ওরফে র‌্যাশ, শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ও মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন। মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান।

এর আগে, সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে প্রিজন ভ্যানে করে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়।

২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের ওই রেস্তোরাঁয় ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে গলাকেটে ও গুলি চালিয়ে হত্যা করে নব্য জেএমবির জঙ্গিরা। হামলা ঠেকাতে গিয়ে নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তা। পরে কমান্ডো অভিযানে হামলাকারী হিসেবে চিহ্নিত পাঁচ তরুণের সবাই মারা যান। তারা হলেন- রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, মীর সামেহ মোবাশ্বের, নিবরাজ ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল ও খায়রুল ইসলাম ওরফে পায়েল।

এছাড়া এ মামলায় আসামিদের মধ্যে বিভিন্ন ‘জঙ্গি আস্তানায়’ অভিযানে নিহত আটজন হলেন- তামিম আহমেদ চৌধুরী, নুরুল ইসলাম মারজান, তানভীর কাদেরী, মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলাম ওরফে মুরাদ, রায়হান কবির তারেক, সারোয়ান জাহান মানিক, বাশারুজ্জামান ওরফে চকলেট ও মিজানুর রহমান ওরফে ছোট মিজান।

রায়ে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর গোলাম সারোয়ার খান (জাকির)। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী হিসেবে ছিলেন মোহাম্মাদ দেলোয়ার হোসেন। 

নব্য জেএমবি ঢাকার কূটনৈতিক এলাকায় হামলা চালিয়ে নিজেদের সামর্থ্যের জানান দেয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশে শরীয়া আইন প্রতিষ্ঠা করতে এই হামলার ছক কষেছিল বলে পুলিশের তদন্তে উঠে আসে।

দুই বছরের বেশি সময় ধরে তদন্তের পর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবির ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই হামলায় জড়িত ২১ জনকে চিহ্নিত করে তাদের মধ্যে জীবিত আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর ৩ ডিসেম্বর মামলার বাদী এসআই রিপন কুমার দাসের জবানবন্দি নেয়ার মধ্য দিয়ে এই মামলার বিচার শুরু হয়েছিল। ২০০৯ সালের এই আইনে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে হত্যার অপরাধ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। আলোচিত এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিরা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের এই মামলায় আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছেন।

গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় নির্মমভাবে নিহত হন ২২ হন, যাদের ১৭ জনই বিদেশি। ১২ ঘণ্টা পর কমান্ডো অভিযানের মধ্য দিয়ে সেই সংকটের রক্তাক্ত অবসান ঘটে।

অল বাংলানিউজ ২৪

শেয়ার করুন

Advertising
allbanglanewspaper-link

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়

    Add