ঢাকা ১৮ আসন উপ নির্বাচন: প্রচারণায় এগিয়ে শাহজাহান আলী মন্ডল

allbanglanews24.com

প্রকাশিত : ০৬:১৮ পিএম, ২ সেপ্টেম্বর ২০২০ বুধবার | আপডেট: ০৩:০২ এএম, ১৮ ডিসেম্বর ২০২০ শুক্রবার

শাহজাহান আলী মন্ডল

শাহজাহান আলী মন্ডল

ঢাকা ১৮ আসনে একযুগ ধরে এমপি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন। তার মৃত্যুতে এই আসনে উপনির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত করতে বিভিন্ন মহলে দৌড় ঝাপ শুরু করেছেন অনেক প্রার্থী।

নৌকার হাল ধরতে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ৫৬ জন। দলের দুর্দিনে যারা শ্রম ও সময় দিয়ে দলের নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রেখেছেন এমনই প্রার্থী সন্ধান করছেন নীতি নির্ধারকরাও। প্রার্থী বাছাইয়ে দলের একাধিক সংস্থার মাধ্যমেও জরিপ চালিয়েছেন। এছাড়া গত রোববার প্রার্থী বাছাই চূড়ান্ত করতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন মনোনয়ন বাছাই কমিটি।

এর আগে পাবনা ৪ আসনে উপনির্বাচনে নূরুজ্জামান বিশ্বাস নৌকার প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত হয় এবং সিরাজগঞ্জ ১ আসন নাসিমপুত্র জয় একক প্রার্থী চূড়ান্ত হয়। বাকি আসনে তপসিল ঘোষণার পর প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত ঘোষণা করবেন দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তফসিল ঘোষণার আগেই একটি জাতীয় দৈনিকে উপ নির্বাচনের ৫ প্রার্থীও নাম ও ছবি প্রকাশ হওয়ায় এলাকায় ধুম্রজাল তৈরি হয়েছে। অনেক প্রার্থী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে মনোনয়ন প্রত্যাশী শাহজাহান আলী মন্ডল বলেন, যারা তৃনমূল পর্যায়ে এবং স্থানীয়ভাবে সময়, শ্রম, মেধা দিয়ে কাজ করেন তাকেই দল মুল্যয়ন করবেন বলে আমার বিশ্বাস।

বিমানবন্দর এলাকায় সরে জমিনে ঘুরে দেখা যায়, নৌকার হাল ধরতে মনোনয়ন প্রত্যাশিরা রং বেরঙের পোস্টার, ব্যানারে ছেয়ে ফেলেছেন পুরো বিমানবন্দর এলাকার রাস্তাঘাট। বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা এমন একজন এমপি চায় যিনি অত্র এলাকার উন্নয়নে কাজ করবেন এবং যার বিরুদ্ধে কোন ধরনের অভিযোগ নেই। সে হিসেবে ক্লিন ইমেজের প্রার্থী হিসেবে এগিয়ে আছেন, শাহজাহান আলী মন্ডল।

প্রত্যাশা কি জানতে চাইলে বিমানবন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শাহজাহান আলী মন্ডল বলেন, আমি আশাবাদী দল আমাকে মনোনয়ন দেবেন। আমার বিরুদ্ধে কোন অর্থ কেলেঙ্কারী, দুর্নীতি, টেন্ডারবাজী এ ধরণের কোন অভিযোগ নাই সেটা আমি জোর গলায় বলতে পারি। তাই সকল জরিপের মাধ্যমে আমি এগিয়ে থাকবো এটা আমার বিশ্বাস।

দীর্ঘদিন বিমানবন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দলের কাজ করে যাচ্ছি, ঢাকা কাস্টমস এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ৩ বার ও সভাপতি ছিলাম ২ বার যেহেতু বিমানবন্দর কেন্দ্রিক হাজার হাজার সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীরা তুরাগ, উত্তরা, উত্তর খান, দক্ষিন খান আশকোনা, ক্ওালা, খিলক্ষেত, বিশ্বরোড এলাকায় অবস্থান করেন সে কারণে সকল মহলে আমার পরিচিতি এবং গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে এবং প্রয়াত সাহারা আপার সাথে দলের হয়ে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করেছি, দলকে সুসংগঠিত করেছি, মাদক, জঙ্গিবাদ দমনে ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কাজ করেছি, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সকল প্রকার সহযোগিতা করে যাচ্ছি।