জেনেনিন কোন ক্রিকেটার কোথায় ঈদ পালন করবেন

allbanglanews24.com

প্রকাশিত : ০৮:৩৩ পিএম, ৩১ জুলাই ২০২০ শুক্রবার

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল আজহা। নাড়ীর টানে শহর ছেড়ে আপনজনদের সঙ্গে ঈদ পালন করতে গ্রামে ফিরছেন মানুষ। বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররাও অনেকেই দেশের বাড়ীতে ঈদ পালন করবেন। যদিও মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে অনেক ক্রিকেটারই আগে থেকেই নিজ গ্রামে অবস্থান করছেন।

মহামারি এ ভাইরাসের জন্য সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ঈদগাহে গিয়ে নামাজ পড়া, কোলাকুলি করার সুযোগ নেই।এমনকি কোরবানিও দিতে হবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে।

জেনেনিন কোন ক্রিকেটার কোথায় ঈদ পালন করবেন:

সাবেক টাইগার অধিনায়ক ও নড়াইল-২ আসনের এমপি মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা নিজ জেলা নড়াইলে ঈদ পালন করবেন।  সদ্য করোনা থেকে সেরে উঠেছেন এ ক্রিকেটার। তারপরই ছুটে গেছেন নিজ নির্বাচনি এলাকায়।

বর্তমান সময়ে একটা খারাপ খবর অসুস্থ টাইগার ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল । কিছুদিন ধরেই পেটব্যথায় ভুগছিলেন তামিম। উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে তিনি। সেখানেই ঈদ কাটাবেন দেশসেরা এ ওপেনার।

পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন দেশসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। সম্প্রতি তিনি দ্বিতীয় কন্যার বাবা হয়েছেন। সেখানেই ঈদ করবেন সাকিব। শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চারদিকে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানান সাকিব ‘মহান আল্লাহর নির্দেশে ত্যাগের অঙ্গীকার পালনের দিনটিই হলো ঈদ-উল-আজহার দিন। আল্লাহ আমাদের সকলকে সমান ভালবাসা ও শক্তি দান করুন। আশেপাশের দরিদ্র ও অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে আসুন ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দেই চারিদিকে’।

টাইগার টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ঈদ করবেন ঢাকায়। দেশে করোনা ও বন্যা পরিস্থিতির কারণে ঈদ করা কঠিন হবে বলে মনে করেন এ অলরাউন্ডার। ‘ঢাকাতেই ঈদ করবো। তবে ঈদ কি আগের মতো আনন্দদায়ক হবে? তবুও চেষ্টা করবো পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে যতটা আনন্দে কাটানো যায়। করোনার পাশাপাশি দেশে বন্যার অবস্থাও ভালো নয়। আসলে সত্যি কথা বলতে এভাবে ঈদ করাও কঠিন’।

সবাইকে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করেন মাহমুদউল্লাহ। ‘আমরা সবাই মিলে আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ালে, কিছুটা হলেও বন্যাকবলিত মানুষরা উপকৃত হবেন’।

টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হকও ঈদ করবেন ঢাকাতে। তবে ঈদের দ্বিতীয় দিন কক্সবাজার যাবেন এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ‘আগের মতো আমেজ নেই করোনাকালের ঈদে, ‘ঈদটা ঢাকাতেই করছি। তবে ঈদের পর দিন কক্সবাজার যাচ্ছি। ওখানে বাবা মায়ের সঙ্গে কয়েকটা দিন কাটিয়ে তারপর ফিরবো’।

ঈদ উদযাপন করতে মঙ্গলবার নাটোরে গেছেন তাইজুল ইসলাম। পরিবারেরর  সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে বাড়ি গেলেও করোনার কারণে মূল আমেজটাই আর নেই জানান তাইজুল।  ‘অন্যবার যেমনটা হয়, গরুর হাট নিয়ে একটা উন্মাদনা থাকে। এবার সেই আমেজটা পাচ্ছি না। হাটে গিয়েও ভালো লাগেনি। কেমন যেন মরা,মরা একটা ভাব! সবচেয়ে বড় কথা বাচ্চাদের আনন্দে ভাটা পড়েছে, ওরা এখন যা ইচ্ছে করতে পারছে না। আসলে আমরাই করতে দিচ্ছি না। এসব দেখে খারাপ লাগে। সব কিছু আসলে সীমিত আকারেই হয়ে গেছে’।

একই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিনও। গত ৫ মাস ধরে ফেনীতে আটকে আছেন তিনি। কোরবানির পশু কিনতে হাটেও যাননি। তবে অন্যান্যবার দৃশ্যপট থাকতো উল্টো। ‘অন্য সময় ঈদের ২-৩ দিন আগে ঢাকা থেকে আসতাম, খুব ভালো লাগতো। এবারতো সেটি হয়নি। গত ৫ মাস ধরেই ফেনীতে, তাই আর কত ভালো লাগবে? আসলে আগের ওই অনুভূতিটা কাজ করছে না’।

আজ গ্রামে ফিরেছেন এ অলরাউন্ডার। ফিরেই জাল দিয়ে মাছ ধরতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন। শুক্রবার নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে পুকুরে জাল মারার এক ভিডিও পোস্ট করে ২৩ বছর বয়সী তারকা। ক্যাপশনে লেখেন, ‘পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে গ্রামের বাড়িতে আজ আসলাম শুক্রবার। তারপর প্ল্যান করলাম পুকুরের মাছ ধরবো তারপর রান্না করে খাব আজকে দুপুর বেলায়। কিন্তু বারবার জাল মারার পরেও কোন মাছ আমার জালে ধরা দেয়নি। এরপর জেলেদের খবর দিলাম। ওরা এসে মাছ ধরল অনেক’।

গত ১৯ জুলাই শুরু হওয়া ক্রিকেটারদের ঐচ্ছিক অনুশীলনে যুক্ত হয়েছিলেন পেসার শফিউল ইসলাম। কয়েকদিন অনুশীলন করেই চলে গেছেন বগুড়ায়। সেখানে ঈদ উদযাপন করে ঢাকায় ফিরবেন তিনি, ‘কয়েকদিন আগে বগুড়া এসেছি। ঈদটা করে ফের অনুশীলনে ফিরবো। আপাতত এই কয়দিন পরিবারের সঙ্গে একান্তে কাটাতে চাই’।

মহামারি করোনার কারণে সাতক্ষীরায় পরিবারের সঙ্গে আছেন কাটারমাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান। সেখানে ঈদ পালন করবেন দ্য ফিজ।  বাড়িতে যথা সম্ভব নিজেকে ফিট রাখার চেষ্টা করছেন এ বাঁহাতি পেসার।

বাগেরহাটে পরিবারের সঙ্গেই ঈদ পালন করবেন পেসার রুবেল হোসেন। করোনার শুরু থেকেই সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন এ বোলার।

যুব বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক আকবর আলী ঈদ করবেন দিনাজপুরে, ‘আমি এখনো বাড়িতে। বাবা-মায়ের সঙ্গে এখানেই ঈদ করবো। আপাতত তো ঢাকায় আসা হচ্ছে না। খেলা শুরু হলে বা অনুশীলন শুরু হলে আসতে হবে। তবে এখানেই যতটুকু পারি, কাজ করে যাচ্ছি’।
 
এছাড়াও অন্যান্য ক্রিকেটাররাও যে যার নিজের মত করে ঈদ পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।