২৪ ঘণ্টায় আরও ৪৩ জনের মৃত্যু

allbanglanews24.com

প্রকাশিত : ০৪:০৬ পিএম, ১৭ জুন ২০২০ বুধবার

ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

দেশে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল এক হাজার ৩০৫ জন। একই সময়ে নতুন করে আরও চার হাজার আটজনের মধ্যে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। যা একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। ফলে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৯৮ হাজার ৪৮৯ জনে।

মঙ্গলবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ১৭ হাজার ৫২৭টি নমুনা পরীক্ষার ফল পাওয়া গেছে। এই পরীক্ষায় নতুন করে ৪ হাজার ৮ জনের দেহে করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এতে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯৮ হাজার ৪৮৯ জনে। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল এক হাজার ৩০৫ জনে।

ডা. নাসিমা আরও জানান, করোনায় আক্রান্ত আরও ১ হাজার ৯২৫ জন গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ৩৮ হাজার ১৮৯ জন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন।

তিনি বলেন, ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৩৮ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

বরাবরের মতোই করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে সবাইকে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, মুখে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানান ডা. নাসিমা।

এদিকে আজ বুধবার বাংলাদেশ সময় সকাল পর্যন্ত বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের তালিকায় যুক্ত হয়েছে বিশ্বের ১ লাখ ৪২ হাজার ৫৫৭ জন মানুষ। এতে করে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ৮২ লাখ ৫১ হাজার ২২৪ জনে দাঁড়িয়েছে। প্রাণ গেছে আরও ৬ হাজার ৫৯২ জনের। এ নিয়ে বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা ৪ লাখ ৪৫ লাখ ১৮৮ জনে ঠেকেছে। আর সুস্থ হয়ে এখন পর্যন্ত হাসপাতাল ছেড়েছেন ৪৩ লাখ ৬ হাজারের বেশি মানুষ।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে উৎপত্তি হওয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। দেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হন ৮ মার্চ এবং এ রোগে আক্রান্ত প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারী ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।