খাদ্যদ্রব্য জীবাণুমুক্ত করার উপায় জানালো ইউনিসেফ

allbanglanews24.com

প্রকাশিত : ০২:৫৭ পিএম, ১২ মে ২০২০ মঙ্গলবার

ছবিঃ সংগৃহীত

ছবিঃ সংগৃহীত

করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে ব্যক্তিগত সুরক্ষার পাশাপাশি খাবারের বিষয়েও সতর্ক থাকতে হবে। এই সময় স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ধরে রাখতে কিছু মূল্যবান পরামর্শ দিয়েছে ইউনিসেফ। এই সময় খাবারের মাধ্যমেই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে। তবেই রক্ষা মিলবে কোভিড-১৯ ব্যাধি থেকে।

করোনার এই প্রাদুর্ভাবকালে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ধরে রাখতে কিছু মূল্যবান পরামর্শ দিয়েছে ইউনিসেফ। তাদের মূল প্রতিপাদ্য হলো, জীবাণুমুক্ত খাবার গ্রহণ এবং প্যাকেটজাত খাবার জীবাণুমুক্ত রাখতে করণীয়।

বিভিন্ন খাবারজাত পণ্য বা তার মোড়কের মাধ্যমে করোনাভাইরাস সংক্রমণ হতে পারে কিনা এমন কোনো প্রমাণ এখন পর্যন্ত নেই। তবে এটি নিশ্চিত যে, বিভিন্ন জড়বস্তুর ওপর করোনাভাইরাস দীর্ঘক্ষণ সক্রিয় থাকে। আর এই সময়কালের মধ্যে যে কেউ ওই পণ্যে হাত দেয়া মাত্র সে করোনার জীবাণু বহন করবে।

এজন্য এই সময় নিজে বাজার করুন আর হোম ডেলিভারি নিন না কেন পরিষ্কার থাকাটা বাধ্যতামূলক। বাজারের ব্যাগ, খাবারের মোড়ক কিংবা কাঁচা শাক-সবজির উপরেও করোনাভাইরাসের জীবাণু থাকতে পারে। সেগুলো স্পর্শ করার পর হাত না পরিষ্কার করলে আপনিও প্রাণঘাতি এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।

পণ্য জীবাণুমুক্ত করতে যা করণীয়

ঘরে ফিরেই হাত পরিষ্কার করুন। এরপর প্রথমেই খাবারের মোড়কগুলো ঢাকনাওয়ালা ময়লার ঝুঁড়িতে ফেলে দিন। কৌটাজাত খাবারগুলো খোলার আগেই তার বাইরের অংশে জীবাণুনাশক প্রয়োগ করে মুছে নিন। কাঁচা শাক-সবজি কল ছেড়ে পানির নিচে রাখুন। ধোয়া হয়ে গেলে আপনার হাত কনুই পর্যন্ত সাবান দিয়ে ধুয়ে নিন। যে কোনো কাজের পর হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে ভুলবেন না।

অন্যান্য কিছু সতর্কতাও এই সময় মেনে চলতে হবে-

> রান্না ও খাবার পরিবেশনের পূর্বেও সাবান দিয়ে ২০ সেকেন্ড হাত ধুয়ে নিন।

> মাছ, মাংস কাটার পর তা ভালোভাবে ধুয়ে উচ্চ তাপমাত্রায় সিদ্ধ করে নিন।

> নষ্ট হয়ে যায় এমন খাবার ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন।

> ময়লা কখনো জমিয়ে রাখবেন না। প্রতিদিনের ময়লা যথাস্থানে ফেলতে হবে। ময়লা ফেলার সময় একটি ব্যাগে সব বেঁধে তারপরে ফেলা উচিত।

> প্রতিবার খাওয়ার আগে থালা-বাসন, চামচ জীবাণূনাশক দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। তারপর নিজের হাতও ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে ধুতে হবে।

> পরিবারের ছোটদেরকেও সুরক্ষিত থাকার বিষয় মেনে চলার অভ্যাস করানো উচিত।