রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ইফতারে দই রাখুন।

allbanglanews24.com

প্রকাশিত : ০৩:১৬ পিএম, ২৭ এপ্রিল ২০২০ সোমবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

রোজায় স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার বিকল্প নেই। বিশেষ করে সারাদিন উপবাসের পর ইফতারে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত। ভাজাভুজি না খেয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।

এজন্য ইফতারে স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে পাতে রাখতে ভুলবেন না দই। এর দামও বেশি না আবার চাইলে বাড়িতেও তৈরি করে নেয়া সম্ভব।

> দইয়ে উপস্থিত উপকারী ব্যাকটেরিয়া শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে উন্নত করে। এর ফলে সংক্রমণ থেকে ভাইরাল ফিবার, কোনো কিছুই কাছে ঘেঁষতে পারে না। দইয়ে থাকা ল্যাকটোব্যাসিলাস অ্যাসিডোফিলাস নামক একটি ব্যাকটেরিয়া শরীরের ক্ষতিকর জীবাণু মেরে ফেলে।

> দইয়ে প্রচুর ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং জিঙ্কের মতো উপকারী উপাদান রয়েছে। নিয়মিত এক বাটি করে দই খাওয়া শুরু করলে শরীরে নানাবিধ মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টসের ঘাটতি দেখা দেয়ার আশঙ্কা কমে যায়। ফলে শরীর চাঙ্গা হয়ে ওঠে।  

> মানসিক চাপ এবং অ্যাংজাইটি কমাতেও দই খাওয়ার বিকল্প নেই।

> ইউনিভার্সিটি অব টেনেসির এক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত দই খাওয়া শুরু করলে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে।

> দই খেলে শরীরে পটাশিয়াম, ফসফরাস এবং আয়োডিনের ঘাটতি দূর হতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ভিটামিন বি৫ এবং বি১২-এর মাত্রাও বাড়তে থাকে।

> রক্তে খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে দই। নিয়মিত দই খেলে হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।

> দইয়ে থাকা ল্যাকটোব্যাসিলাস এবং স্ট্রেপটোকক্কাস থ্রেমোফিলাস নামক দুটি ভালো ব্যাকটেরিয়া ক্যান্সার কোষ বাড়তে দেয় না।

> ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা নেয় দই। এ কারণেই বদহজম এবং গ্যাস্ট্রিকের মতো সমস্যা কমাতে দই খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।

> দইয়ে রয়েছে প্রচুর ফসফরাস এবং ক্যালসিয়াম। এই দুটি উপাদান দাঁত এবং হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

> দই শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে| তাই গ্রীষ্মকালে দই খেলে শরীর ঠাণ্ডা থাকে|

> দই শরীরে টক্সিন জমতে বাধা দেয়| তাই অন্ত্রনালি পরিষ্কার রেখে শরীরকে সুস্থ রাখে। শরীরে টক্সিন কমার কারণে ত্বকের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায় ও বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে।