বণ্যপ্রানী আইনে জেলে যেতে পারেন সৌম্য!

allbanglanews24.com

প্রকাশিত : ০৭:৫৫ পিএম, ১২ মার্চ ২০২০ বৃহস্পতিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সপ্তাহ দুয়েক আগেই গাঁটছড়া বেঁধেছেন জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার সৌম্য সরকার। হরিণের চামড়ার ওপর বিয়ের আশির্বাদ অনুষ্ঠান করেছিলেন সৌম্য সরকার। কিন্তু অতি আভিজাত্য প্রকাশ করতে গিয়ে হিতে বিপরীত হতে যাচ্ছে সৌম্য সরকার ও তার বাবা কিশোরী মোহন সরকারের। আইনানুযায়ী, বন্যপ্রাণীর চামড়া নিজের কাছে রাখা অপরাধ। আর এতে দোষী প্রমাণিত হলে তিন বছরের জন্য কারাগারে যেতে পারেন সৌম্য ও তার বাবা। 

বাংলাদেশ ক্রিকেটের সময়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার সৌম্য। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানের পাশাপাশি কার্যকরী পেস বোলিংয়ে দলে বড় অবদান রাখেন তিনি। প্রেমিকা প্রিয়ন্তী দেবনাথ পূজার সঙ্গে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সাতপাঁকে বাঁধা পড়েছেন তিনি। তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান নিয়ে অবশ্য জল ঘোলা কম হয়নি। সেখানে স্মার্টফোন চুরির দায়ে দুইজনকে গ্রেফতারও করেছিলো পুলিশ। কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে আলোচনায় উঠে আসে আশির্বাদের দিন ব্যবহার করা হরিণের চামড়া। 

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, লাইসেন্স ছাড়া কোনো জীব কিংবা বন্যপ্রাণীর চামড়া নিজের কাছে রাখা দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ক্ষেত্রে ন্যূনতম তিন বছরের কারাদণ্ড হতে পারে দোষী ব্যক্তির।

সৌম্য ও তার বাবার সাজা নির্ভর করছে মামলা-মোকদ্দমার ওপর। কেউ যদি আদালতে মামলা ঠুকে দেন—তখনই কাঠগড়ায় উঠে যাবেন সৌম্য ও তার বাবা। 

যদিও এ বিষয়ে সৌম্য সরকারের বাবার ভাষ্যমতে, নিজেদের কাছে হরিণের চামড়া রাখা তাদের পারিবারিক ঐতিহ্য। বহুকাল আগে থেকে তার পূর্বপুরুষরা এটি ব্যবহার করে আসছিলেন। সেই সূত্রেই তিনি সেটি পেয়েছেন এবং রীতি অনুযায়ী  মেনে পুত্রের আশীর্বাদ সেরেছেন।

কিন্তু সৌম্য সরকার যদি আদালতে ওঠেন এবং দোষী প্রমাণিত হন, সেক্ষেত্রে ২০২০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিস করতে পারেন তিনি।