বাড়তে যাচ্ছে বিদ্যুতের দাম

allbanglanews24.com

প্রকাশিত : ০৩:২২ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৪:২১ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ বৃহস্পতিবার

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

আরো একবার বিদ্যুতের মূল্য পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে বাড়তে যাচ্ছে। এ বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলনের ডেকেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। আজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় কারওয়ানবাজারে কমিশন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি বা এই সংক্রান্ত ঘোষণা আসতে পারে বলে জানিয়েছে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) এক কর্মকর্তা।

পাইকারি পর্যায়ে এর আগে বিদ্যুতের মূল্য ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব রাখে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো হয়। এই পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে খুচরা পর্যায়ে মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়।

বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির এই সিদ্ধান্তে মন্ত্রণালয় অটল থাকলে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ মূল্যবৃদ্ধি হবে এবার। আগামী মার্চ থেকেই বর্ধিত হারে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হবে গ্রাহককে।

বিদ্যুৎ খাতের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন বোর্ড (পিডিবি)সহ ছয় সংস্থা গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানোর প্রস্তাব প্রদান করেছে। সঞ্চালন মাশুল বাড়ানোর দাবি করে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানিও (পিজিসিবি)।

বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় কারওয়ানবাজারে কমিশন কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হবে বলে বিইআরসির ট্যারিফ শাখার এক কর্মকর্তা জানান।

সর্বশেষ ২০১৭ সালের নভেম্বরে পাইকারি বিদ্যুতের দাম গড়ে ৩৫ পয়সা বা ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বাড়ায় সরকার, যা ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়।

তাতে আবাসিকে মাসে ৭৫ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের খরচ বাড়ে ১৫ টাকা, ১৫০ ইউনিটে ৪৮ টাকা, ২৫০ ইউনিট পর্যন্ত ৯০ টাকা, ৪৫০ ইউনিট পর্যন্ত ১৯৬ টাকা এবং ১০০০ ইউনিট পর্যন্ত ব্যবহারকারীদের খরচ বাড়ে ৬০৪ টাকা।

গত বছরের জুনের শেষে গ্যাসের দাম বাড়ানোর দুই মাসের মাথায় বি্যিুতের দাম আরেক দফা বাড়ানোর জন্য বিইআরসিতে প্রস্তাব পাঠাতে শুরু করে বিতরণ কোম্পানিগুলো। এসব প্রস্তাবের ওপর গত ২৮ নভেম্বর শুরু হয় গণশুনানি।

ততে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) পাইকারিতে ইউনিট প্রতি বিদ্যুতের দাম ২৩ দশমিক ২৭ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়। 

তাছাড়া বিতরণকারী বা খুচরা বিক্রেতা কোম্পানিগুলোর মধ্যে ডেসকো, ডিপিডিসি, ওজোপাডিকো ও নেসকো দাম বাড়ানোর আবেদন করে । যুক্তি হিসেবে পরিচালন ও জনবল বাবদ ব্যয় বৃদ্ধি এবং আধুনিক প্রযুক্তি স্থাপন ও সরঞ্জামের মূল্য বৃদ্ধির কথা বলা হয় কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে।

তবে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) পক্ষ থেকে বলা হয়, পাইকারিতে দাম না বাড়লে তাদের দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হবে না।

নিয়ম অনুযায়ী গণশুনানির ৯০ দিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত জানাতে হয় বিইআরসিকে। ৯০ দিন পূর্ণ হওয়া এক সপ্তাহ আগেই আসছে সেই ঘোষণা।